শিনবে দ্রুত বিষয়টা বদলে অন্য কিছু বলবার জন্য তয়ার দিকে এগিয়ে গেল। "কিউ তোমাকে কিওকোর উপর নজর রেখে চলতে বলেছে,?" এই বলে সে কিওকোর চলে যাওয়া পথটার দিকে চোখের ইশারা করল। “বুঝলে... সম্প্রতি আমি এই জায়গাটায় কিছুটা ভারসাম্য বদলের অনুভূতি পেয়েছি, যেন কোন কিছু ঘটার প্রস্তুতি চলছে। অশুভ শক্তি ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে। এর সঙ্গে কিওকোর কোন যোগ আছে কিনা তা জানার ইচ্ছা রয়েছে।” শিনবের কিছু কিছু প্রবৃত্তি সবসময়েই ঠিকঠাক কাজ করে আর সেই জন্যই সে চিন্তিত ছিল।
তয়ারও সেরকমই কিছু মনে হচ্ছিল, আর তাই সে-ও এর উত্তর চাইছিল। “দেখো, এর থেকে ভাল সময় আর পাওয়া যাবে না। আমি কি উপরে গিয়ে ওকে সরাসরি ওর থেকে সত্যিটা জানতে চাইব?" ওর মনে হচ্ছিল কিওকো কিছু একটা লুকোচ্ছে, আর তয়া চাইছিল সেটা উদঘাটন করতে।
শিনবে তাকে আটকাবার আগেই তয়া দ্রুত পায়ে সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠে গেল। শিনবে একটু আশংকিত হয়ে বলল, “ওরা দু’জন মুখোমুখি হওয়াটা বেশ ঝামেলার। আমি আগেও দেখেছি, তখনও ভাল অশান্তি হয়েছে। ওরা দুই ভাইয়ের মতো বা ওইরকম একটা আচরণ করে।” শিনবের নীলার মতো চোখ দুটো সিঁড়ির দিকেই তাকিয়েছিল, আর তয়াকে দুটো করে সিঁড়ি চড়তে-চড়তে উপরে উঠে যেতে দেখছিল।
একমাত্র কিউই যে তাকে মাঝে-মাঝে ঠাণ্ডা করতে পারে এই কথা ভেবে কামুই মাথা নাড়ল। “ও না গেলে আমি আছি। আজ রাতে তোমার সাথে দেখা হবে,” এই বলে সে সেখান থেকে চলে গেল, আর শিনবে সেই একই জায়গায় দাঁড়িয়ে সিঁড়িটার দিকেই তাকিয়ে রইল।
শিনবের মনে গভীরে, যেখানে তার রক্ষকের শক্তির প্রতিফলন তারই হৃদয়ের মধ্যে ঘটছিল, নতুন এই ঋত্বিকা সম্পর্কে