এবার কিউ কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে পড়ল। অনেকটা সময় ধরে সে সব কিছুতেই প্রত্যাখ্যাত হয়ে আসছিল, কিন্তু হঠাৎ করেই তার টানে কিওকোর এভাবে সাড়া দেওয়ায় সেও কিছুটা বিহ্বল হয়ে পড়েছিল। সে তাকে বুকের মধ্যে শক্ত করে চেপে ধরল এবং কিওকোর সুবাসিত মুখের উপর তার মুখটা নামিয়ে আনল।
“এবারটা থেকে যাও,” সে ফিসফিস করে কিওকোকে বলল।
কিওকোর তার কথাবার্তায় এবং তার বাহুবন্ধে একটা আবেশ অনুভব করছিল, কিন্তু তা সত্ত্বেও কয়েক মুহূর্তে আগেও সে এই মানুষটাকে কেমন ভয় পাচ্ছিল, আর এখন সে এমনভাবে তাকে ধরে ছিল যেন তার উপর কিওকোর সারা জীবনের জন্য ভরসা করতে পারে। কিওকো সেই মুহূর্তে তার প্রতি ভয় ও তাকে জড়িয়ে ধরে তার গালে চুম্বন করার মাঝামাঝি একটা মানসিক স্থিতিতে অবস্থান করছিল।
তার মনে প্রচুর প্রশ্ন ছিল এবং সে তার বুকে মাথা রেখে বিড়বিড় করে বলছিল, “আমি যা যা ভুলে গেছি বলে তুমি বলছ, আমি সেই সব কিছু মনে করতে চাই। আমার কী কী জানা দরকার?"
কিউ তার সোনালি চোখ বন্ধ করল কারণ বাস্তব জগতে ফেরার ইচ্ছা এই মুহূর্তে তার হচ্ছিল না... কিওকো ঠিক সেখানেই ছিল যেখানে ওর থাকার কথা... ওর বাহু-বন্ধনে। একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে কিউ তাকে নিজের বাহু-বন্ধন থেকে মুক্ত করল এবং সোফায় বসিয়ে দিয়ে নিজে ওর পাশে বসে পড়ল।
নিজের অতি লম্বা-লম্বা চুলের মধ্যে দিয়ে হাত চালিয়ে সে গভীর নিঃশ্বাস ফেলে নিজের মধ্যে তৈরি হওয়া তীব্র উত্তেজনাকে বশে আনার চেষ্টা করল। নিজেকে শান্ত করে নিয়ে সে তাদের সামনে থাকা দেওয়ালটার দিকে তাকাল এবং কিওকো যা জানতে চাইছিল তা তাকে বলতে শুরু করল। কোন কিছু মনে করা আর তা শোনা এক জিনিস নয়।
“তুমি সাহায্য পাবে। এখানে ঠিক তোমার মতো করে, স্কলারশিপ পেয়ে, যে সব ছাত্র-ছাত্রীরা এসেছে তাদের আমিই জড়ো করেছি। তোমাকে