দুষ্টু-মিষ্টি মেয়েটা যে তার মনে প্রবেশ করে গেছে সেটা বোঝার আগেই তার চোখ দুটো প্রসারিত আনন্দে প্রসারিত হল। “ধুৎ!” বলে সেও তার পিছনে-পিছনে ছুটতে লাগল।
কিওকো প্রায় সিঁড়ির শেষ ধাপে পৌঁছে খেয়াল করল তার ঋত্ত্বিক চেতনা যেন কোন কিছুর দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে। তয়ার পাশে আরও এক রক্ষকের উপস্থিতি অনুভব করে কিওকো চারিপাশটা দেখার জন্য তাকাল। এই ধরনের অনুভূতি তৈরি করতে পারে এমন সবচেয়ে কাছে থাকা যাকে সে দেখল সে একজন ছাত্র যে সিঁড়ির ঠিক নিচেই দাঁড়িয়েছিল, আর কিওকোকে উৎসাহ ভরা চোখে দেখছিল।
কাছ থেকে তাকে দেখে কিওকো তার অবিন্যস্ত চুলের হালকা বেগুনি হাইলাইট এবং তার অত্যন্ত সুন্দর দুটো চোখ দেখতে পেল। চোখ দুটোর দিকে ভাল করে তাকিয়ে কিওকো হলফ করে বলতে পারত... সে তার দুই চোখের তারায় বর্ণালীর সবকটা রংয়ের ঝলকানি দেখতে পেয়েছিল।
এই সময় তয়া কিওকোর পিছনে এসে দাঁড়িয়েছিল। ওকে হঠাৎ করে থেমে যেতে দেখে তয়া লক্ষ্য করল সে আসলে কামুইকে দেখে দাঁড়িয়ে পড়েছে। ‘বেশ, ও তাহলে এখন চিরঞ্জীবীদের শনাক্ত করতে পারছে,’ তয়া মনে-মনে ভাবল। তয়া একটু নিচে ঝুঁকে কিওকোর হাতটা ধরে নিল, “চলো আমি ওর সাথে তোমাকে পরিচয় করিয়ে দিই।”
কামুইয়ের সাথে প্রথমবার দেখা হওয়ার সাথে-সাথেই তয়ার ওর জন্য একটা আলাদা স্নেহ তৈরি হয়েছিল। কামুই সম্পর্কে তয়া যতটুকু জানত তা হল, ওর বাবা-মা নেই এবং সে কোন শিশু পালক সংস্থার তত্ত্বাবধানে বড় হচ্ছিল যতদিন না কিউ তাকে এখানে ভর্তির সুযোগ করে দিয়েছিল।
কিওকো নিজেকে তয়ার হাতে ছেড়ে দিয়েছিল যাতে তয়া তাকে টেনে আগন্তুকের কাছে নিয়ে যেতে পারে। সে যে একজন চিরঞ্জীবী তা কিওকো বুঝতে পারছিল, কিন্তু তা সত্ত্বেও তার মধ্যে এক অস্বাভাবিক উদারতা সে লক্ষ্য করতে পারছিল। সে তার