সে নিজের মাথা ঝাঁকিয়ে কিওকোর থেকে আসা সেই উষ্ণতাকে ঝেড়ে ফেলতে চেষ্টা করল এবং তারপর কিউয়ের দিকে কটমট করে তাকাল এবং দেখল সে তখনও ওর দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। “কী হল?” তয়া কর্কশ কণ্ঠে জিজ্ঞাসা করল এটা জেনেও যে সে তার কোন উত্তর পাবে না। সে আর বেশি জল ঘোলা করতে চাইল না এবং দরজাটাকে দড়াম করে বন্ধ করে দিয়ে বাইরে চলে গেল এবং দ্রুত পায়ে হেঁটে কিওকোর পাশে এসে উপস্থিত হল।
তয়া পিছন থেকে দ্রুত পায়ে হেঁটে যাওয়া কিওকোকে দেখছিল। সে নিশ্চয়ই কিউয়ের থেকে যত দ্রুত সম্ভব দূরে চলে যেতে চাইছিল। তয়া নিজের মধ্যেই মুচকি হাসল, তাকে ধরার জন্য দ্রুত পায়ে হেঁটে এগিয়ে গেল, নিজেকে রক্ষকের ভূমিকায় বিবেচনা করে। তার ভাবনা কিছুটা গভীর হল এই ভেবে যে, কিওকো কি আদৌ জানে তয়া আসলে কে। এ ব্যাপারে তার সন্দেহ ছিল, না হলে সে তার দিকে তাকিয়ে ওভাবে হাসত না।
সিঁড়ির একেবারে উপরে কিওকো বুঝতে পারছিল তয়া তাকে ধরে ফেলেছে কারণ সে তার পিছনে তয়ার উপস্থিতি অনুভব করতে পারছিল। হ্যাঁ, কিওকো তার শক্তিশালী উপস্থিতি বেশ বুঝতে পারছিল, কিন্তু সেই অনুভূতি কিছু হলেও কিউয়ের থেকে আলাদাই ছিল। সে এক মুহূর্তের জন্য তার দু’চোখ বন্ধ করে নিল। এই ভাবে চোখ বন্ধ করে সে তার দেহসৌরভ নিতে চেষ্টা করল তা সে যতই খারাপ ব্যবহার তার সঙ্গে করে থাকুক না কেন, কিন্তু তার দেহসৌরভ তাকে উষ্ণতা দিচ্ছিল এবং সে... আরও অনেক কিছুর মধ্যে... খুবই সুরক্ষিত বোধ করছিল।
সে বুঝতে পারছিল তয়ার বয়স কিউয়ের থেকে কম হওয়ার কথা, কিন্তু তা সত্ত্বেও তার মধ্যে যে নিহিত শক্তি ছিল তা সে স্পষ্ট অনুভব করতে পারছিল। এমন এক শক্তি যা, যদি তাকে ধরা যায়, তয়াকে এক নিমেষে তার দাদাকেও ছাপিয়ে যেতে পারে... যদিও তাদের দু’জনের মধ্যে কেউ সে ব্যাপারে সতেচন কিনা তা নিয়ে তার সন্দেহ হচ্ছিল। কিওকো তার এই ধরনের চেতনার ব্যবহার খুব