এই দেখে তয়া যেভাবে কটমট করে তার দিকে তাকাচ্ছিল তাতে কামুই হো-হো করে হেসে উঠল। কিওকোর প্রতি তয়ার আকর্ষণ এতটাই স্পষ্ট ছিল যা শুধু একজন নির্বোধেরই চোখ এড়াতে পারত।
কিওকো একটু লজ্জা পেল এবং ‘রগচটা’ শব্দটা মনে করে মুখ চেপে হাসল। তয়া যেভাবে কামুইয়ের দিকে কটমট তাকাচ্ছিল তা দেখে কিওকো বেশ মজা পাচ্ছিল। “আমরা আসলে শিনবে আর সুকির খোঁজ করছিলাম। তুমি কি ওদের দেখেছো কোথায়...”
কিওকো তার কথা শেষ করার আগেই কেউ তার হাতটা ধরে তাকে এক টানে কামুই আর তয়ার মাঝখান থেকে সরিয়ে নিল। কিওকো হতচকিত হয়ে তার দিকে তাকাতেই তার চোখ দুটো সুকির চিন্তিত চোখের উপর গিয়ে পড়ল।
"সব ঠিক আছে তো কিওকো? তুমি শেষ অবধি থাকছো তো তাহলে?" সুকির জিজ্ঞাসায় যেন অনুনয়ের ছাপ ছিল।
সুকির কথা শুনে কিওকোর কিউয়ের মৃদু গলায় তাকে থেকে যাবার অনুরোধের কথা মনে পড়ে গেল এবং সে সুকির উদ্দেশ্যে সম্মতিসূচকভাবে মাথা নাড়ল। “আমি যাচ্ছি না।” এই কথা বলতে-বলতে সে সুকির কাঁধের পিছন দিয়ে শিনবেকেও দেখতে পেল এবং তার এই উত্তরে শিনবের চোখেও একইরকম সন্তুষ্টির ছাপ লক্ষ্য করল।
কিওকোর কথায় তয়া তার একটা ভ্রু কুঁচকে তার দিকে তাকাল। সে বুঝতে চেষ্টা করছিল কিউ তাকে ঠিক কী বলেছে যার জন্য কিওকো এখানে থাকার ব্যাপারে এতটা দৃঢ়তার সঙ্গে মাথা নাড়ল। এখন কিওকোকে আগের থেকে অনেকটাই আলাদা লাগছিল, তাকে বেশ আনন্দিত দেখাচ্ছিল। কিউ সাধারণত যখনই কারো সাথে একান্তে কথা বলে... তাদেরকে পরের কয়েক ঘণ্টা বেশি অপ্রস্তুত অবস্থায় চলাফেরা করতে দেখা যায়। লোকটার মধ্যে তাকেও থতমত খাইয়ে দেবার ক্ষমতা রয়েছে।
কিওকো সুকির হাতটা ধরল এবং সিঁড়ির দিকে হেঁটে যেতে শুরু করল, “আমরা যদি আজ রাতে ডান্স করতে