"সুকি, তাহলে এসবের পরও কি তুমি আজ রাতে আমার সাথেই ক্লাবে যেতে চাও? আজ তো শনিবার, আর শনিবারের রাতটা আমি নিঃসন্দেরে তোমার সঙ্গেই নাচতে চাই, কতগুলো অজানা-অচেনা মেয়েদের সাথে নেচে-গেয়ে আমার সময় কাটবে না।” এই বলে শিনবে তার চোখে এমন একটা ভাব নিয়ে এলো যেন এই মুহূর্তে সে অজানা-অচেনা কতগুলো মেয়েদের সঙ্গে নাচছে এবং তাতে তার কী অবস্থা হচ্ছে তার প্রমাণ দিচ্ছে।
সুকি তার দিকে এমনভাবে দেখল যেন এক চড়ে তার ঘোর ভেঙ্গে দিতে চাইল এবং তারপর সে কিওকোর দিকে মুখ ফেরাল। “কিওকো, আমার একজন খেয়াল রাখার লোক চাই,” বলে মুচকি হাসল। "তুমি তো রয়েইছো, তাই না? খুবই বিপজ্জনক হবে যদি আমি লোকটার সাথে একা যাই,” এই বলে সে কিওকোর দিকে অনুনয়ের দৃষ্টিতে তাকাল।
এই শুনে শিনবের ঘোর ভেঙ্গে গেল আর সে বড়-বড় চোখ করে তাকাল দেখে কিওকো বেশ মজা পেল আর তার ঠোঁটের দু’পাশে হাসির রেখা দেখা গেল। “সুকি, তোমাদের সাথে যেতে আমার দারুণ লাগবে। আর আমরা একসঙ্গে থাকলে শিনবেকেও সামলাতে পারব যদি সে বেসামাল হয়ে পড়ে কখনো।”
এইবার দু’জনেই শিনবের তীক্ষ্ণ দৃষ্টির শিকার হল এবং সে গজগজ করতে লাগল। এই সব দেখে কিওকো আর নিজেকে সামলাতে পারল না, হো-হো করে হেসে উঠল। এই দু’জনকে তার খুব ভাল লেগে গেছিল।
তয়া কিওকোকে আড়চোখে দেখেই যাচ্ছিল। ওহ্, এভাবে হাসলে ওকে দারুণ সুন্দর লাগে কিন্তু। তয়া মনে-মনেই বলে ফেলল। কোথা থেকে যে এল ধারণাটা ওর মনে? চিন্তার এই ধারাপাত সামাল দিতে-দিতে ও ধপ করে ওর চেয়ারটাতে বসে পড়ল। “ধুর ছাই!” আজ রাতে ওকে ক্লাবে যেতেই হবে, আর শুধু কিওকোকে দেখার জন্যই। শিনবে আর সুকির কথাবার্তায় হাসতে-হাসতেই কিওকো এবার পিছন ফিরল।
পিছন ফিরে যেই ও তয়ার দিকে তাকাল, তয়ার দম বন্ধ হয়ে এল,