তয়া কিওকোর দিকে ঘুরে তাকাল, এবং যে কোন কারণেই হোক যেভাবে তয়া ওর দিকে তাকাল, যেন ওকে মাপছে, তাতে কিওকো কিছুটা বিরক্ত হল। কিওকো চোখের দৃষ্টি সংকীর্ণ হল, এবং প্রথম দেখার ছাপটা তার মধ্যে দেখে যেন উবে গেল।
"আচ্ছা, তুমিই তাহলে সেই ঋত্বিকা।?" তয়া কিছুটা নিরুদ্বেগে বলল এবং ওর দিকে থেকে মাথা ঘুরিয়ে নিয়ে, যেন ওকে বিশেষ গুরুত্ব না দিয়ে, বসে পড়ল।
কিওকোর চোখ পাকিয়ে তার দিকে তাকাল এবং দীর্ঘশ্বাস ফেলল। ওখানে কেউ-ই জানত না ও কিওকো একজন ঋত্বিকা। সত্যি কথা বলতে, ওর খুব কাছের পারিবারিক সদস্যরাই শুধু জানত বিষয়টা।
“তুমি এটা কীভাবে জানলে,” কিওকো হঠাৎ করে ক্রুদ্ধ ভঙ্গিতে তয়ার কাছে জানতে চাইল।
ওকে এভাবে ক্রুদ্ধ হতে দেখে তয়া কিছুটা রেগে গেল। “এরকম পাগলের মতো চেঁচামেচি কোর না তো। আমি আস্তে বললেও ভালই শুনি,” তয়া রাগত কণ্ঠে ওকে বলল।
কিওকো আর তয়াকে এভাবে একে-অপরের বিরুদ্ধে খর্গহস্ত হতে দেখে সুকি ও শিনবে দু’জনেই কিছুটা থমকে গেল।
তয়ার চেতনায় শক্তি-প্রবাহিত হতে শুরু করল যেই মাত্র কিওকো তার সাথে ক্রুদ্ধ স্বরে কথা বলল, এবং সে কিছুটা উত্তেজিত হয়ে উঠল, এই ভেবে যে, কিওকোর ছোট-খাটো শরীরটায় নিশ্চয়ই বড়-সড় কোন শক্তি নিহিত আছে, যদিও সে কোনভাবে সেটা কিওকোর সামনে প্রকাশ করতে চাইছিল না।
নিঃশব্দে হলেও কিওকোর চেহারা-ছবির প্রশংসা তার মধ্যে ছিল। কিছুটা হৃদয়ের আকারের তার মুখের দু’পাশ থেকে তার সোনালি চুলগুলো এপাশ থেকে ওপাশে উড়ছিল। কিওকোর চঞ্চল সবুজাভ চোখ দুটো তার দিকে সরাসরি তাকিয়েছিল, যেটা তাকে হয় কিছুটা হলেও উত্তেজিত করে তুলেছিল। মেয়েদের মধ্যে থাকা আগুন সে পছন্দ করত এবং কিওকোর